নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুর(খবর7দিন প্লাস):-শীত হোক কিংবা গ্রীষ্ম পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের গোপালপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাতালডাঙা আদিবাসী গ্রাম মাসের পর মাস চরম পানীয় জলের অভাবে ভুগছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ পঞ্চায়েতে বলেও কোন লাভ হয় নি । আদিবাসীদের আক্ষেপের সাথে অভিযোগ যে তাদের কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় না । তাদের মানুষ বলে গণ্য করে না পঞ্চায়েতে বসা বাবুরা।
এদিকে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের একটি আদিবাসী গ্রামে ডায়ারিয়া দেখা দেয় , প্রাণ যায় এক আদিবাসীর ।
চাতালডাঙা গ্রামে প্রবেশ করলেই নজরে পড়বে জল জীবন মিশনের কল তো রয়েছে কিন্তু এ যেন এক প্রকার ঠাট্টা হয়েই রয়েগেছে।কয়েক বছর আগে কলগুলি বসানো হয়েছিল কিন্তু জল আর আসেনি । এমনটাই দাবী চাতালডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের। টিউবয়েল রয়েছে একটি কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে চারবার খারাপ হয়ে গিয়েছে এবারে পঞ্চম বারে পড়েছে । আর একটি টিউবয়েল আছে । তাতে জল পড়ে তবে যা জল পড়ে তার থেকে আধ কিলোমিটার হেঁটে জল আনা অনেক ভালো ।
তাদের কথায় “ চরম জল কষ্ট,সকাল থেকেই পেটের দায়ে মজুর খাটতে বের হয় তারা । সন্ধ্যায় হেতাহোতা থেকে জল বয়ে নিয়ে আসা।এভাবেই চলছে চাতালডাঙার বাসিন্দাদের পানীয় জলের লড়াই ।
গোপালপুর পঞ্চায়েত কি করছে ? বাসিন্দাদের কথায় , কোন গুরুত্ব দেয় না , হয়তো জন্তু ভাবে।পঞ্চায়েত নাকি তাদের অভিযোগের সমাধানই করে না । বর্তমান পঞ্চায়েত মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর অতি কাছের লোকের বিধানসভা কেন্দ্রের আদিবাসীরা কি আদৌ ভালো আছে ? প্রশ্নটা বড্ড তেঁতো লাগলেও বাস্তবে চাতালডাঙা দেখিয়ে দিচ্ছে ভাল নেই , চরম জল কষ্ট রয়েছে গ্রামে ।
আদিবাসী মানুষ রুক্ষ চেহারা । ক্যামেরা দেখলেই মুখে সেভাবে সাড়া বের হয় না । কিন্তু ওদের পাশে মাটিতে বসে কথা বললেই ,ওরা সাভাবিক ভাবেই উজাড় করে দেয় মনের কথা । আদিবাসী মহিলাদের কথায় “ বড্ড কষ্ট । সন্ধ্যায় জল আনতে যেতে হয় । বাবু পাড়ায় সবার সাব মার্শিবল আছে তবু পঞ্চায়েত সেখানে সাব মার্শিবল করে দেয় ,আমাদের দেয় না । আমরা কোথায় যাবো ? একটু দ্যাখ দিদি ভাই দাদারা যদি জল দিতে পারিস তবে আমরা বাঁচবো ।