আউসগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের এক প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দখল করা আদিবাসীদের দান করা সরকারি জমিতে হয়ে গেল চূড়ান্ত পর্যায়ের ফুটবল টুর্নামেন্ট




নিজস্ব সংবাদদাতা,কাঁকসা,(খবর7দিন প্লাস):- জঙ্গলমহল আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে  কাঁকসার রঘুনাথ পুর গ্রামের বিতর্কিত ফুটবল ময়দানে হয়ে গেলো   চূড়ান্ত পর্যায়ের   ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা।

রঘুনাথপুর জঙ্গলমহলের অন্যতম একটি এলাকা ।যে মাঠের একাংশ জায়গা দখলের অভিযোগ ওঠে আউশগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ আব্দুল লালনের বিরুদ্ধে।সেই রঘুনাথপুর মাঠেই অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল টুর্নামেন্ট।


বেশ কিছুদিন আগে থেকে এই মাঠ আউসগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের এক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতার পরিবারের নামে কাগজে-কলমে করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অথচ আদিবাসী সমাজ দাবি করছেন এই রঘুনাথপুরের মাঠটি তাদের। 


শুধু তাই নয় তাদের বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে তারা শুনে আসছেন রঘুনাথপুর ফুটবল মাঠটি রাজ্য সরকারের এবং তা আদিবাসীদের জন্য এই মাঠ বরাদ্দ আছে। তাই সেই মাঠ রক্ষার তাগিদে আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে দুদিন ব্যাপী একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় সেই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হয় রবিবার । কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নব কুমার সামন্ত জানান যদি এই ফুটবল মাঠ কোন কারণবশত সরকারি জমি থেকে ব্যক্তিগত নামে হস্তান্তর হয়ে থাকে তাহলে তার পুণ্য তদন্ত করে রাজ্য সরকার তার নিজের জমি ফিরিয়ে নেবে আর এই মাঠের রক্ষার তাগিতেই আসা জঙ্গলমহল আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে এই টুর্নামেন্ট হচ্ছে। 


তিনি আরো জানান এই মাঠ কার নামে নথিভুক্ত ছিল তার সঠিক তথ্য বের করার জন্য প্রশাসন তৎপর হয়েছে এবং তার তদন্ত চলছে। অন্যদিকে কাঁকসা ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানান জঙ্গলমহল মানেই জঙ্গলে ঘেরা চারিদিকের মাঝখানে একটি খেলার মাঠ। যে মাঠ রঘুনাথপুরে এলাকায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এই মাঠে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন  অনুষ্ঠানের পাশাপাশি খেলাধুলা হয়। তাই সেই মাঠ যাতে বেদখল না হয় সেজন্যই তারা রক্ষার তাগিদে ময়দানে নেমেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি বা খেলার মাঠ হস্তান্তর করা যাবে না আদিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে হবে তিনিও আশাবাদী রাজ্য সরকার সেই জমি আদিবাসীদের হাতে ফিরিয়ে দেবে। আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির সদস্য মঙ্গল টুডু জানান আদিবাসী সমাজ এই মাঠ রক্ষার তাগিদে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে রাজি কোনভাবেই এই মাঠ কে বেদখল করা যাবে না। তারাও আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়ের  পাশে আছে তিনি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাঠ কে আদিবাসীদের ফিরিয়ে দেবেন।

নবীনতর পূর্বতন