বাঁকুড়া জেলার তথাকথিত পিছিয়ে পড়া স্কুলে তৈরি হল "মানবতার দেয়াল" ও "সততার স্টোর"


নবাব খান,বাঁকুড়া(খবর7দিন প্লাস):- নিঃস্বার্থভাবে কল্যাণকর কাজে অংশীদার হওয়ার নাম মানবতা। স্কুল জীবনের শুরু থেকেই সেই ছাত্র ছাত্রীদের সেই শিক্ষায় শিক্ষিত করার গুরু দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তূলে নিয়েছেন বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 

আর সেই লক্ষ্যেই বাঁকুড়ার  মতো তথাকথিত পিছিয়ে পড়া জেলার ওই স্কুলে 'মানবতার দেওয়াল' ও 'সততা স্টোর' তৈরী হয়েছে। কিন্তু কি এই 'মানবতার দেওয়াল'? স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ এই দেওয়াল অনেক অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে। অব্যবহৃত, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক এই দেওয়ালে যে কেউ টাঙ্গিয়ে দিতে পারেন, আর সেখান থেকেই সংগ্রহ করবেন সেই সব মানুষ যাদের তা প্রয়োজন। তবে এই দেওয়াল সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকছে বলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।


অন্যদিকে, 'সততা স্টোরে'ও রয়েছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। 'মানবতার দেওয়ালে'র ঠিক পাশেই 'সততা স্টোরে' ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে লেখা রয়েছে, 'সততার পরিচয় দাও, মূল্য দিয়ে পণ্য নাও' এর মতো কথা।এখানেই শেষ নয়, সম্ভবত জেলার মধ্যে এই প্রথম কোন সরকার প্রোষিত স্কুলে এখানেই প্রথম চালু হয়েছে 'স্বয়ংক্রিয়া হাজিরা পদ্ধতি', সঙ্গে ডিজিটাল ঘন্টা আর স্মার্ট ক্লাস রুম তো আছেই। 


এছাড়াও ক্ষুদে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে দেওয়াল জুড়ে আঁকা রয়েছে আস্ত ট্রেন। 'কেন্দুয়াডিহি জি.বি. এস এক্সপ্রেস' নামে ওই ট্রেনের ছবি এখন ছাত্র ছাত্রীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নানান কারণে যখন সরকার প্রোষিত স্কুল গুলি ধুঁকছে, অভিভাবকরা বেসরকারী স্কুল গুলির দিকে ঝুঁকছেন- ঠিক তখন পরিকাঠামো ও শিক্ষাগত দিক দিয়ে বেসরকারী স্কুল গুলিকে ধরে ধরে কয়েক গোল দিতে পারে কেন্দুয়াডিহি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়, এমনটাই বলছেন অনেকেই।প্রধান শিক্ষক চন্দন দত্ত বলেন, প্রথমতঃ শিশুদের আনন্দদায়ক পরিবেশে শিক্ষাদানের ভাবনা থেকেই দেওয়াল চিত্রের কথা ভাবা হয়েছিল। সঙ্গে 'ড্রপ আউটে'র হার শূণ্যতে নামানোও অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়াও দূর দূরান্ত ছেলে মেয়েরা এই স্কুলে পড়তে আসে, স্বয়ংক্রিয় হাজিরা পদ্ধতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের কাছেও বার্তা পৌঁছে যাবে। ফলে তারা অনেকখানি নিশ্চিন্ত থাকবেন বলেও তিনি জানান।


 

নবীনতর পূর্বতন