নিজস্ব সংবাদদাতা(খবর7দিন প্লাস):- বয়স মাত্র কুড়ি বছর। অথচ এই বয়সেই কামাল করে দেখিয়েছেন তিনি। সকলের লাঞ্ছনা, গঞ্জনা আর অপমানকে তুচ্ছ করে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন। পূরণ করেছেন নিজের স্বপ্ন। গর্বিত করেছেন বাবা-মাকে। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের নাম তুলেছেন। এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন কার কথা বলছি? নিজের কোন স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি?আসানসোলের বাসিন্দা শুভেন্দু মাঝি। তবে কলেজ কলকাতায় হওয়ায় থাকেন বাঁশদ্রোনীতে। আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো তাঁরও নেশা রয়েছে। তাঁর নেশা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সার্টিফিকেট কোর্স করা। আর এই নেশাই তাঁকে এনে দিয়েছে সাফল্য। ইতিমধ্যেই সেই কাজ করে ছুঁয়েছেন একশোর মাইলস্টোন। মূলত কোর্স করেছেন কোডিং, এথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে।
যদিও এই সাফল্য অর্জনের পথটা আদৌ মসৃণ ছিল না। পেরতে হয়েছে অনেক বাধা বিপত্তি। জানা যায়, ছোট থেকেই খুব কষ্টে মানুষ হয়েছেন শুভেন্দু। দুচোখ ভরা আনন্দের জল নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মা লোকের বাড়ি কাজ করেই তাঁকে বড় করে তুলেছেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই ছিল। আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, কখনও আধপেট আবার কখনও অনাহারেই কাটিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শুনতে হয়েছে পাড়ার লোকের অনেক গঞ্জনাও। কারণ তিনি নীচু জাতের গরিব বাঙালি ছেলে। কেউ বলেছে তারা নাকি কালো জাদু করেন। তুকতাক করেন বলে তাদের ঘরে টাকা আসছে না। কেউ বলেছে তাদের জন্য অন্যের বাড়িতে সাপ ঢুকছে। এমনকী, নিজের রোগের জন্য তাঁর মা বাবাকেও অনেকে দোষারোপ করেছেন। কারণ, তাঁরা মাঝি বলে তাঁদের জন্য ওদের রোগ হয়েছে।
কিন্তু শুভেন্দুর মনে ছিল জেদ। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানার আগ্রহ ছোট থেকেই। সেই আগ্রহ থেকেই করেছেন ১০০ টি সার্টিফিকেট কোর্স। তাঁর বাড়িতে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে সার্টিফিকেট এবং মেডেল। হাসতে হাসতে তিনি জানিয়েছেন, এখানেই থামবেন না, ভবিষ্যতে আরও অনেক বিষয়ে কোর্স করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। খবর ৭ দিন প্লাসের পক্ষ থেকে শুভেন্দুর আগামী দিনের চলার পথের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।