যাগ-যজ্ঞ, ও ধর্মীয় আলোচনা সভা। দুপুরে তাঁর সমাধিস্থলে ভোগ নিবেদন করা হয়, চলে স্মৃতিতর্পণ। স্থানীয় বক্রেশ্বর, ঝাঁপড়তলা, তাঁতিপাড়া, গোহালিয়ারা,মেটেলা এমন সব গ্রাম থেকে হাজির হয় আশ্রমের গুণমুগ্ধ ভক্ত-শিষ্যরা। চলে সাধু-সন্ত, ভক্ত ও নরনারায়ণ সেবা। কিন্তু কে এই সাধক বাসুদেব!?
১৯৪২ সালের এমন এক ২ এপ্রিল বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুরে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে তাঁর জন্ম। মাত্র ৮ বছর বয়সে আধ্যাত্ম শিক্ষার হাতেখড়ি। তখন থেকেই বেরিয়ে পড়েন সত্যের সন্ধানে। একদিকে আধ্যাত্ম সাধনা অন্যদিকে মেধাবী ছাত্রটি পড়াশোনা চালিয়ে যান। রুরকি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। কিন্তু এই পার্থিব প্রাপ্তিতে তাঁর চিত্ত ভরেনি। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্রে চলে তাঁর নিরন্তর সাধনা! উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ২৯ জুলাই তিনি অনন্তলোকে বিলীন হন। সাধক বাসুদেবের দেহ সমাধিস্থ করা হয় এই সতীপীঠ বক্রেশ্বরে। সেই সমাধি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ উপলক্ষে আজ অভিষেক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক কলকাতার মানুষ উৎপল ভরদ্বাজ বীরভূম আরশিকে জানিয়েছেন------ (বাইট)। স্থানীয় প্রসাদ দাস, অজয় গুঁই, সুনীল মণ্ডল, উৎপল রায়, পরেশ দাস,জয়দীপ মজুমদার এমন সব অনুরাগী শিষ্যদের সহযোগিতায় আশ্রমের উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে ।