সুজিত ভট্টচার্জ,বুদবুদ :-বিজেপির কোন নেতা যদি লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে তবে তাদের কান ধরে উঠবস করাবো। মহিলাদের জন্য যে লক্ষীর ভান্ডার চালু করা হয়েছে সেটা আজীবন তারা পেয়ে যাবেন। বিজেপির কোন ক্ষমতা নেই লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার। বাংলার মহিলারা বিজেপির নেতাদের এমন কানমোলা দেবে যাতে বিজেপি ভারতবর্ষে আর ক্ষমতায় না আসতে পারে।৫০ দিনের জায়গায় ৬০ দিনের কাজ করতে চাইলে আগামী দিনে ৬০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করা হবে। সংখ্যালঘু থেকে শুরু করে তপশিলি জাতি উপজাতি সকলের জন্যই উন্নয়নমূলক প্রকল্প করে দেওয়া হয়েছে সকলেই সেই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে।। রাজ্যের মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়ে তারা অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের উন্নয়নের কাজ করেছে কিন্তু বিজেপি করোনার সময় একটা কোভিডের ইনজেকশন দিয়েও তার পাশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে রাখে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনাথ সিংহের নাম করে তার উদ্দেশ্যে বলেন রাজ্যে কোনরকম সিএএ চালু হতে দেবেন না। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার বুদবুদের জনসভা থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে এমনই হুশিয়ারি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় দুটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুর একটার সময় আউসগ্রামে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী অসিত কুমার মালের সমর্থনে জনসভায় যোগ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আউশগ্রামের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম এবং বর্ধমান সদর জেলার একাধিক বিধায়ক ও তৃণমূল কর্মীরা।
এদিন আউসগ্রামের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার অথবা মধ্যপ্রদেশ বা রাজস্থান নিজের গড়েই অর্ধেকেরও কম আসন পাবে বিজেপি। ২০২৪ এর নির্বাচনে এবার দেশ জুড়ে দিন বদলের সুর চরিছেন সেখানকার মানুষ। তিনি বলেন আসলে বিজেপি ভুলে যায় যে মানুষের সমর্থন তাদের সঙ্গে আর নেই। মানুষ বিজেপিকে আর ভরসা করে না। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপিকে জব্দ করবে। বাংলার ন্যায্য অধিকার আদায়ে তৃণমূল সাংসদরাই লড়াই করে গেছেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। বিজেপির যোগ্য জবাব দেবে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। তাই অন্য কোন দল নয় তৃণমূল কংগ্রেসকেই বেছে নেওয়ার ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।।
এদিন আউসগ্রামের সভা সেরে হেলিকপ্টারে করে বুদবুদে বাইপাসের ধারে অনুষ্ঠিত জনসভায় হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আগেই মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, প্রদীপ মজুমদার, স্বপন দেবনাথ, এবং দুই বর্ধমান জেলার বিধায়করা। তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী ডঃ শর্মিলা সরকার, এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ সহ জেলা নেতৃত্বরা। তীব্র গরমে প্রখর রোধ উপেক্ষা করে এদিন হাজার হাজার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার জন্য সভাস্থলে হাজির হয়েছিলেন দুপুর বারোটা থেকে। এদিন সভা নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও সাধারণ মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতে দেখা যায়। এদিন সভাস্থলে মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে উপকৃত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে সভাস্থলে হাজির হয়েছিলেন।