সুজিত ভট্টাচার্য্য,কাঁকসা : এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হল কাঁকসার গোপালপুর শিল্পতালুকে। শনিবার সকাল থেকে কারখানা চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছালে। পুলিশের সাথে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সকাল আটটা নাগাদ পৌঁছায় দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপির বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই।।
কাঁকসার গোপালপুরের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার শ্রমিক তথা গোপালপুরের বাসিন্দা সুজয় বিশ্বাস (২৬) এর গতকাল রাত্রে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা। কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন গতকাল রাত্রে কাজ শেষ হওয়ার পর তারা যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন সেই সময় একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুজয়কে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে কারখানার ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। শ্রমিকদের অভিযোগ, ঘটনার সময় একটি ছোট গাড়িতে করে ওই শ্রমিকের দেহ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। এরপরই কারখানার ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় একটি ছোট গাড়ি ও লরিটিকে।
শনিবার সকাল থেকেই ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় অন্যান্য শ্রমিকরা। শনিবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপির বিধায়ক লক্ষণ গড়ুই। ঘটনাটা অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং কেন মৃতের দেহ গায়েব করা হচ্ছিল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন বিধায়ক। শনিবার সকালে কারখানার এক আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই ওই অধিকারীককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিকরা। ওই আধিকারিককে ধাক্কা মারা হয় বলে অভিযোগ। শ্রমিকরা জানিয়েছেন যতক্ষণ না মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তারা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাবেন। এদিন ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা ও ধাক্কাধাক্কি। যদিও কারখানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই বিষয়ে তারা কারখানার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তারা ক্ষতিপূরণে বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।