পুলিশের জালে ধরা পরল দুই নাবালক চোর


 নিজস্ব প্রতিনিধি,রানীগঞ্জ:- চোরের দাপটে, দীর্ঘ এক মাস ধরে ঘুম উড়েছিল পুলিশের। চুরির ঘটনার কিনারা করতে এবার সতর্ক ছিল রানীগঞ্জ থানার পুলিশ। আর এই সতর্ক থাকার কারণে দুই চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলতে সক্ষম হলো পুলিশ।জানা গেছে রানীগঞ্জের নিমচা 

ফাঁড়ি এলাকায় পৃথক স্থানের তিনটি দোকান থেকে রাতের অন্ধকারে এডভেস্টারের ছাদ ফুটো করে, দোকানের মধ্যে ঢুকে, চুরি করেছিল মোবাইল ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী। অবশেষে পুলিশি তৎপরতায় এবার চতুর্থ দফায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই চোর। উদ্ধার হল বেশ কিছু চুরি যাওয়া সামগ্রী।ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় শীতের রাতের নির্জনতার সুযোগে ও রাস্তার মধ্যে জলের পাইপ লাইন বসানোর জন্য মেশিনের শব্দ কে কাজে লাগিয়ে, চুরির ঘটনা ঘটাত এই দুই চোর। এবার চতুর্থ দফায় চুরি করতে গিয়ে  পুলিশের নজরদারির সময় হাতেনাতে ধরা পড়লো। পুলিশের জেরাই ধৃত ওই দুই নাবালক চোর  সবকটি চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করে। আর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার হয় বেশ কিছু চুরি যাওয়া সামগ্রী। জানা গেছে গত দু মাস ধরে তিনটি পৃথক অংশে এডভেস্টারের ছাদ ফুটো করে, বারংবার চুরির ঘটনা ঘটতে থাকে, তাদের দাপটে পুলিশের নাজেহাল অবস্থা হয়ে পরে। চোরকে ধরতে হন্যে হয়ে দিকে দিকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রতিরাতে শুধু রাস্তায় নয়, বহুবার বাড়ির ছাদের উপরেও নজর রাখতে হয় পুলিশকে। আর সেই নজরদারির পরই এবার মিলল সফলতা। এবার সেই চোর জে কে নগর বাজার এলাকায় এক দোকানে টিনের চালা কাটতে গিয়ে ধরা পড়ল পুলিশের নজরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গভীর রাত্রে চুরির ঘটনার বিষয় জানতে পেরে, পুলিশ তড়িঘড়ি ওই দোকানের চারিদিকে ঘিরে ধরে, পাকড়ে ফেলল ওই দুই নাবালক চোরকে। এর পরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।, একের পর এক চুরির ঘটনা কিভাবে তারা ঘিটিয়েছে তা স্বীকার করে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে। রানীগঞ্জের নিমচা ফাঁড়ির আইসি মলয় দাসের এই বিশেষ তৎপরতার বিষয় লক্ষ্য করে রাজিগঞ্জ থানায় সদ্য দায়িত্ব নেওয়া ইন্সপেক্টর সুসীম গঙ্গোপাধ্যায়, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে, নিমচা ফাঁড়ি পৌঁছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি বিষয়ে নজর দেন।

নবীনতর পূর্বতন