জয়ন্ত মন্ডল,বীরভূম:- কাঙ্গাল খেপার আশ্রম বীরভূম জেলার জয়দেব কেন্দুলির অজয় নদীর উত্তর তীরের মহাশ্মশানে। পূর্ব নিবাস মেদনীপুর জেলার খাসি নগর গ্রাম, তাহার পিতার নাম কামদেব মুখোপাধ্যায়। কাঙ্গালের প্রকৃত নাম অবধূত, তিনি পরে কাঙ্গাল খেপা চান নাম গ্রহণ করেন।
তিনি একজন অসামান্য ত্যাগী মহাপুরুষ ছিলেন, যোগ সাধনা দ্বারা তিনি সিদ্ধি লাভ করেন। মাত্র আঠারো বছর বয়সেই বাড়ি থেকে চলে যায়। তারপর পশ্চিম প্রদেশের পার্বত্য দেশে প্রায় 24 বছর সাধুর সঙ্গে অতিবাহিত করে। ১২৮০ সালে জয়দেব গোস্বামীর জন্মভূমি অজয় নদীর উত্তর তীরে কেন্দু বিল্লো গ্রামে কদম খন্ডির ঘাট সংলগ্ন শ্মশানে পঞ্চদশ মুন্ডীর আসনে বসে যোগ সাধনা অভ্যাস করেন।
কাঙ্গাল খেপা চান্দ তান্ত্রিক সাধক ছিলেন। তিনি সমস্ত সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ১৩১০ সালে বীরভূম বর্ধমান প্রভৃতি অঞ্চলে অজন্মা হইলে তিনি দরিদ্র দিগের সাহায্যার্থে সুচারু রূপে কার্য সম্পূর্ণ করতেন। ১৭ই মাঘ মাঘি পূর্ণিমার দিন রাত্রি ২ ঘটিকার সময় নারায়ণ নাম স্মরণ করিতে করিতে পঞ্চদেশমুন্ডির আসনে সজ্ঞানে দেহ রক্ষা করেন। ১৩৩৬ সালে কাঙ্গাল ভক্ত রজনীকান্ত হালদার ও সৌরেশ চন্দ্র চৌধুরী কাঙ্গালের ক্ষুদ্র জীবনী ও তৎসহ ৩৬ টি গান সংগ্রহ করেন কাঙ্গাল খেপা চান নামে এই দুজনে দুইখানি বই লিখেছিলেন। ১৩১০ সালে মাঘ মাসের ম*** পূর্ণিমায় সজ্ঞানে মহাসমাধি লাভ করেন। যেটা মহাসমাধি কাঙ্গাল খেপা চাঁদের বীরভূম জেলার জয়দেব কেন্দুলী তে স্থিতিসির রয়েছে। ১৩১১ সাল হতে কাঙ্গাল ভক্তগণ সাধ্যমত দিয়ে এবং নারায়ন ভক্তদের নিকট নারায়ণ দেবের সেবা করিতেছেন। ভোগ রান্ধিবার জ্বালানি কাঠের অভাবে এইবার হতে উখরার জমিদার মহাত্মা বিমান বিহারীলাল সিং এক ট্রাক কয়লা পৌঁছে দিয়ে সেবা কার্যে সাহায্য করেছিলেন। কথিতি আছে কাঙ্গাল খেপা চাঁদ তিনি মহাসাধক ও তান্ত্রিক ছিলেন।।