পার্থ ঝা, মানিকচক : শশুর বাড়িতে থাকার দাবিতে ধর্না গৃহবধুর। মালদার মানিকচক ব্লকের নুরপুর অঞ্চলের বরমপুর এলাকার ঘটনা।
বরমপুর এলাকার যুবক আতিউর রহমানের (২৬) সঙ্গে রুমি খাতুনের (২২) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছরখানেক প্রেম চলে এমনকি উভয়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় দাবি রুমি খাতুনের। কিন্তু বিয়ে করতে নারাজ আতিউর। তারপর রুমি প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্না দিতেই পরিবারের লোক বিয়ে দিতে বাধ্য হয় রুমি ও আতিউরের।
রুমি শ্বশুরবাড়িতে ১৪ দিন কাটান। রুমির শ্বশুর শেখ বাবুল ১৪দিন পর ছেলে ও বৌমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর ছেলে মুম্বাইয়ে শ্রমিকের কাজে যায়। মুম্বাইয়ে থাকলেও রীতিমতো যোগাযোগ থাকে রুমির সঙ্গে। বাড়ি ফেরার পর আতিউর রুমির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই। শেষমেশ আবার শশুর বাড়ির সামনে ধরনা রুমির। রুমির বক্তব্য "বছরখানেক আগে আমাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে করে দিয়েছিল।
তারপর আমাকে আমার শ্বশুর বলল এক বছর পর বাড়িতে তুলে নেব। এই বলে আমাকে মায়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমার স্বামী মুম্বাইয়ে কাজ করতে গেলেও ওর সঙ্গে প্রতিনিয়ত ফোন মারফত যোগাযোগ হয়। আজ সকালেও কথা হয়েছে। সকাল দশটার দিকে আতিউর আমাকে ফোনে বলে, আমার মা-বাবা তোমাকে মানতে চাইছে না। তুমি যেখানে যাওয়ার যাও আমি রাখতে পারব না।
তাই আমি আমার শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্না দিতে বাধ্য হয়েছি।ধর্না দিতে গেলে আমার শ্বশুর আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বিয়ে হয়েছে তাই আমিও আতিউরের সঙ্গেই থাকবো।
রুমির শ্বশুর শেখ বাবুলের বক্তব্য "আমি ধাক্কা দেইনি। আমার ছেলে ও বৌমা উভয়কে আমি আগেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। আমার জায়গা নেই আমি বাড়িতে রাখতে পারব না ওদের। ওরা দুজন নিজের সংসার করে খেতে পারে। তাতে আমার আপত্তি নেই"।