নিজস্ব প্রতিনিধ, জামুড়িয়া : প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে শিল্পাঞ্চলে চলছে ব্যাপকহারে অবৈধ কয়লা ব্যবসা, বিশেষ করে কয়লা চোরেরা ইসিএলের খোলা খনি ও পরিত্যক্ত খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করে মোটরসাইকেল, ভ্যান ও সাইকেলের মাধ্যমে চোরাই কয়লা অবৈধ ডিপোতে নিয়ে যাচ্ছে। কয়লা মাফিয়ারা সেই কয়লা সংগ্রহ করে, ডিস্কো পেপারের মাধ্যমে ট্রাকে করে পাঠাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এই অবৈধ ব্যবসায় চলছে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। কারণ সিন্ডিকেট ছাড়া অবৈধ কয়লা উত্তোলন করা যাবে না, বাইরে পাঠানোও যাবে না। কয়লা চুরির বিষয়ে, জামুড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হরেরাম সিং দু'দিন আগে বলেছিলেন যে এই এলাকায় কয়লা চুরি হতে দেওয়া হবে না এবং কয়লা চুরি সিন্ডিকেটকে এই এলাকায় কাজ করতে দেওয়া হবে না।
যদিও সত্যটি হল যে বিধায়কের নাকের নীচে থেকেই এলাকায় প্রচুর কয়লা চুরি করা হচ্ছে। সিআইএসএফ অবৈধ কয়লা এবং কয়লা চোরদের ধরতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। কিন্তু কয়লা চোরদের খবররিরা বিভিন্ন জায়গাই ডেরা জমিয়ে রেখেছে যার কারনে তারা সিআইএফএফ এর গাড়ির আসতে দেখেই খবর দিচ্ছে অবৈধ কয়লা চোরা কারবারিদের। আর খবর পেয়েই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেতারা। সোমবার সিআইএসএফের অভিযানে জামুরিয়ার তাপসি এলাকায় 21 টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কুনুস্তদিয়া এলাকার সিআইএসএফ ইনচার্জ অমিত কুমার জানিয়েছেন, সুত্র মারফত খবর পাওয়া যায় যে তাপসি এলাকায় অবৈধভাবে কয়লা মজুত করা হয়েছে, সেখানে আমাদের একটি দল সোমবার অভিযান চালায় এবং সেখান থেকে কয়লা ওজনের সরঞ্জাম সহ 21 টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা কয়লা কাছের কোলিয়ারি ডিপোতে জমা করা হয়েছে এবং এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি মঙ্গলবারও বেআইনি কয়লা চোরাচালানের বিরুদ্ধে সিআইএসএফ-এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জামুরিয়া থানার চুরুলিয়ার মাধবপুর এলাকায় সিআইএসএফ একটি দল বেআইনি কয়লা পাচারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালায়। স্টেশন এলাকা থেকে তিনটি ১৬ চাকার ট্রাকে প্রায় ৩০০ টনেরও বেশি কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। CISF টিমকে আসতে দেখে ট্রাক চালকরা কয়লা বোঝায় ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়, তারপর CISF টিম ট্রাকে লোড করা অবৈধ কয়লা জব্দ করে জামুড়িয়া থানায় নিয়ে যায়। সিআইএসএফর আধিকারিক জানিয়েছেন যে এর আগেও ১৯ সে নভেম্বর তারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত করেছিলন। কিন্তু এরপরও এলাকায় অবৈধ কয়লা ব্যবসা বন্ধ হিয়নি বরঞ্চ ব্যাপক হারে এ ব্যবসা চলতে থাকে। গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল এই অবৈধ চোরাই কয়লা কারবারের,তাই অভিযোগের ভিত্তিতে জোর তোর অভিযান চালানো হচ্ছে এবং আগামী দিন এই চোরাই কয়লা কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।