আধুনিক কৃষি ব্যবস্থায় রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিশাল অববাহিকা অঞ্চলে শিল্প-কারখানায় যেমন উন্নত, তেমনি ব্যাপক এ অঞ্চলের কৃষি ব্যবস্থা। ফলে কলকারখানা থেকে যেমন আবর্জনা, রাসায়নিক নানা পদার্থের অবশেষ গঙ্গায় এসে পড়েছে। এর উপর মানুষ এবং জন্তু-জানোয়ারের বর্জ্য পদার্থ ও এসে মিশেছে গঙ্গার বুকে।ফলে গঙ্গাজল মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে উঠেছে। জলে যে পরিমাণ দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকলে জলকে পানের উপযুক্ত বলা যায় তা থাকছে না। নানা রোগের জীবাণু মিশছে জলে ।
উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রকল্প আধিকারিক সুব্রত দাস, জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত মণ্ডল, বন বিভাগের আধিকারিক প্রদীপ ,মনিকচক থানার আইসি পার্থ সারথী হালদার সহ নদীপ্রেমী মানুষ।জেলা প্রকল্প আধিকারিক সুব্রত দাস বলেন‘গঙ্গা একটি পবিত্র নদী। আজ নানা কারণে সেটি মজে যাচ্ছে। স্থানীয়দের আবর্জনা ফেলার কারণে তা ঘটছে। আমরা তাই গঙ্গাকে নিয়ে উৎসব করে মানুষকে সচেতন করতে চাইছি। বিভিন্ন এলাকা এবং নদী আবর্জনা মুক্ত রাখাই আমাদের লক্ষ্য।তাই নদী উৎসবের সঙ্গে রাখা হয়েছে মানববন্ধন কর্মসূচিও।
প্রধান চাঁদ সুলতানা মহাশয়া বলেন বাসিন্দারা সচেতনতার অভাবে গঙ্গা নদীকে প্রায় ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলেছেন। নদীতে আবর্জনা না ফেলার জন্য জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত সচেতন করে চলেছে গঙ্গা ভলেন্টিয়াররা।মানিকচকের গঙ্গাঘাট হল একটি পবিত্র ঘাট। এখানে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা স্নান করতে আসে এবং পবিত্র গঙ্গাজল দেবদেবীর পুজোর জন্য নিয়ে যায়। তাই "নদী উৎসব" এর মধ্য দিয়ে নির্মল গঙ্গা ও স্বচ্ছ গঙ্গা তৈরি করাই হলো মূল লক্ষ্য ।