নিজস্ব প্রতিনিধি, জামুড়িয়া : ইসিএল-এর কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরির বিরুদ্ধে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জির নেতৃত্বে ইসিএল-এর সাতগ্রাম এলাকা অফিসের সামনে বিজেপি যুব মোর্চা একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি করে। এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ও সমর্থকরা প্রায় এক ঘণ্টা জিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন। বিজেপি নেতা বাপ্পা চ্যাটার্জির অভিযোগ, ইসিএল কর্মকর্তাদের একাংশের যোগসাজশে ইসিএল কয়লা খনির বিভিন্ন অংশ থেকে অবৈধভাবে কয়লা পাচার হচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে ইসিএলের অনেক কর্মকর্তা অবৈধভাবে কয়লা পাচারে কয়লা মাফিয়াদের মদদ দিচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, শুধু কয়লা চোরাচালান নয়, ভূমি মাফিয়ারাও কয়লাখনি এলাকার জমি অবৈধভাবে বিক্রি করলেও ইসিএলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা আঞ্চলিক কার্যালয়কে আগাম জানানো হলেও।
এই স্মারকলিপি সংগ্রহের জন্য ইসিএলের সাতগ্রাম এলাকার মহাব্যবস্থাপক এদিন অফিসে ছিলেন না। পরিবর্তে তারা ইসিএল নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশকে ব্যবহার করে বিজেপি কর্মীদের ভিতরে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তবে ভবিষ্যতে ওই এলাকার জিএমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এখানে ইসিএল কর্মকর্তারা সম্ভবত ভুলে গেছেন যে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী, কিন্তু তারা এমন আচরণ করছেন যেন তারা তৃণমূলের কর্মচারী।তিনি আরও অভিযোগ করে যে সাত গ্রাম এলাকায় নির্বিচারে কয়লা চুরি হচ্ছে, এমনকি জমি বিক্রি করছে ভূমি মাফিয়ারা, কিন্তু এখানকার মহাব্যবস্থাপকের মাথাব্যথা নেই।
এতে প্রমাণ হয় কোথাও না কোথাও অন্য কর্মকর্তারাও এতে জড়িত। ইসিএলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীরা সিআইএসএফকে সঠিক তথ্য দেয় না, যার কারণে কয়লা চুরি বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, যেভাবে পুলিশ প্রশাসনকে ডেকে বিজেপি কর্মীদের থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে তা লজ্জাজনক। তিনি বলেছিলেন যে কয়লা মাফিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজেপির বারবার দাবি সত্ত্বেও যদি ECL দ্বারা কোনও ধরণের পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের আন্দোলন চালানো হবে।