সোমবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম বর্ধমান : কাঁকসা থানা প্রাঙ্গনে কংকেশ্বরী কালি মন্দিরের পুজো উপলক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সূচনা করলেন বিহার সরকারের স্পেশাল সেক্রেটারি আইএস অফিসার রচনা পাটিল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ইস্ট কুমার গৌতম,কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল,কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষ,কাঁকসার বিডিও পর্ণা দে, জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়,বিশিষ্ট সমাজ সেবী পল্লব বন্দোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।


এদিন গত মহরমের দিন কাঁকসা থানায় যে মহরম খেলার প্রতিযোগিতা হয়েছিল তার মধ্যে তৃতীয় পানাগড় গ্রাম মহরম কমিটি, দ্বিতীয় কাঁকসা শেখ পাড়া মহরম কমিটি ও প্রথম গৃহস্থাপাড়া মহরম কমিটির হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়াও আসন্ন ছট পুজোর ১০০ জন ছটব্রতীর হাতে পুজোর ডালা তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়াও ২০০ জন দুঃস্থ মানুষের হাতে বস্ত্র ও ২০০ জনের হাতে শীত কম্বল তুলে দেওয়া হয়।

পাশাপাশি  ১০০ জন পড়ুয়ার হাতে লেখা পড়ার সরঞ্জাম ও ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়াও এবছর যে সমস্ত পুজো কমিটি নিয়ম মেনে সুষ্ঠ ভাবে দুর্গা পুজো করেছিলেন তাদের মধ্যে কাঁকসার কুলডিহা সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি ও রাজবাঁধ চটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির হাতে তৃতীয় পুরস্কার দ্বিতীয় পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় মিত্র সংঘ ক্লাব ও আড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির হাতে এবং প্রথম পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় পানাগড়ের অগ্রগামী ক্লাবের পুজো কমিটির হাতে।

এছাড়াও কাঁকসার মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটির মধ্যে তৃতীয় হয় কাঁকসা হাটতলা পুজো কমিটি,দ্বিতীয় কাঁকসার ডাকবাংলো মনোজপল্লী পুজো কমিটি ও প্রথম কাঁকসার হাটতলা আন্তরিক মহিলা পুজো কমিটি। তিনটি পুজো কমিটির হাতে পুরস্কার তুলে দেন মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা।

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ইস্ট কুমার গৌতম কাঁকসার মানুষের উৎসাহ দেখে অভিভূত হন।

তিনি বলেন কাঁকসার মানুষের কাছে তিনি অনেক সম্মান আর ভালোবাসা পেয়েছেন।

তিনি চান যখনই তিনি কাঁকসায় আসবেন তখনই যেনো কোনো ভালো অনুষ্ঠানে অংশ নিতেই আসেন কাঁকসার মানুষের কাছে সেই আবেদন করেন।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ তথা আইনজীবী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন কাঁকসা থানা গত কয়েকবছর ধরে কাঁকসার মানুষকে যে ভাবে উৎসাহ দেয় তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর নানান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।তারই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়।অনুষ্ঠান দেখতে মানুষের উৎসাহ ছিলো চোখে পড়ার মত।

নবীনতর পূর্বতন