নিজস্ব প্রতিনিধ, পশ্চিম বর্ধমান : পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম অভিনব ভাবনায় ভাইফোঁটার পুন্য লগ্নে দুর্গাপুর জেসপগেট পূজা কমিটি বিগত ২৫ বছর ধরে শ্রী শ্রী শ্যামা পূজার আরাধনা করে আসছে। "সাত ঘর এক উঠোন" এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাদের প্রায়ই প্রত্যেক আত্মীয়-স্বজন ভাই বোন প্রায় তিনটে প্রজন্ম একসাথে ভাই ও বোনেরা বিগত ৬ বছর ধরে এই দিনটিতে স্বেচ্ছা রক্তদান উৎসবে মেতে ওঠে।
অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারগুলির এই ধরনের একটি সামাজিক কর্মকাণ্ডের তেমনভাবে কোন প্রচার বা সারা পাওয়া সম্ভব হয়নি আজও। অথচ তাদের আন্তরিকতার কোন ত্রুটি থাকে না। এই পূজা কমিটির অন্যতম কর্ণধার যীশু গুরুঙ্গ নিজে যেমন বিরল গ্রুপের রক্তদাতা ঠিক অনুরূপভাবে সাতজন তার পরিবারেও বিরল গ্রুপের রক্তদাতা রয়েছে।
বোন তার ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় যখন ফোটা দেবেন তখনই হয়তো আরো ভাই-বোন রক্তের অভাবে আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তাই সামাজিক ভাবনা থেকে ভাই ফোটার পুন্যলগ্নে আজ ১৪ ই নভেম্বর সকাল ১০:৩০ মিনিট জেসব গেট, এবিএল কারখানা সংলগ্ন, দুর্গাপুর ১০ স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির হয়ে গেলো এই শিবিরে ৬ জন মহিলা সহ মোট ৪৮ জন রক্ত দান করলেন। প্রথমবার রক্তদান করলেন ১৪ জন। একসাথে রক্ত দান করলেন সাহা পরিবারের পাঁচজন সদস্য।
আজকের এই দিনটি সারা ভারতবর্ষ জুড়ে শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে তার পাশাপাশি আজকের দিনটি বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এই আহ্বান যাতে এই বার্তা সারা দুর্গাপুর সারা রাজ্যব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক। এমনও অভিনবত্ব ভাবনায় সামাজিক ঋণ শোধ হোক।
এই শিবিরের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল দুর্গাপুর ব্লাড ডোনার্স কাউন্সিল ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল ব্লাড সেন্টার। সকল রক্তদাতা, উপস্থিত অতিথি ও ব্লাড সেন্টারের প্রত্যেকটি কর্মীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন যেসব গেট পূজা কমিটির পক্ষ থেকে যীশু গুরুঙ্গ এবং দুর্গাপুর ব্লাড ডোনাস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক সজল বোস।