শীতকাল মানেই সর্দি - কাশি, ইমিউনিটি বাড়াতে জেনে নিন কোন কোন ফল আপনার ডায়েট চার্ট এ রাখা উচিত

 


সাস্থ্য কথা : 


শীতকাল আসতে আর মাত্র দুটো মাস , ফলে সিজন চেঞ্জ এর দরুন সর্দি কাশি লেগেই আছে । তাই এই ঋতু পরিবর্তনের সময় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া খুবই জরুরি । তাই শীতকালে কোন কোন ফল আপনার খাদ্য তালকায় থাকবে জেনে নিন। 

         এই সময় দেখা মেলে কুল , আমলকী , সবেদা, কমলালেবু , আপেল আর ডালিমের । এই সব ফলে আছে ভিটামিন সি , ভিটামিন এ , ভিটামিন e মিনারেল , ক্যালসিয়াম , ফসফরাস , অন্টি অক্সিজেন , ফাইবার সহ আরো অনেক উপাদান যা শুধু মুখরোচক এ নয় , শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে ।  


      

    

 আপেল: প্রবাদেই আছে অ্যান অ্যাপেল এ ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যওয়ে। চিকিৎসকরা সবসময় বলেন সকালে খালি পেটে আপেল খেতে। কারণ আপেলের মধ্যে রয়েছে আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন। এছাড়া আপেলে কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায়। আপেল ফাইবার,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। যখন খালি পেটে আপেল খাওয়া হয়, তখন শরীর সহজেই আপেলে উপস্থিত এই সমস্ত পুষ্টি শুষে নেয়। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব পূরণ হয়, একটি মাঝারি আকারের আপেলে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সিও থাকে।আপেলে উপস্থিত ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম, এই উপাদানগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিমাণ মতো আপেল খেলে ২০ শতাংশ স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে। ২৫ গ্রাম আপেল অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ টুকরো আপেল প্রতিদিন খেলে ৯ শতাংশ স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে। এছাড়াও এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে ।



ডালিম: টুসটুসে লাল এই রসালো ফল দেখতে যেমন সুন্দর , খেতেও অসাধারণ । তবে দাম একটু বেশি হওয়ায় অনেকেই এই এড়িয়ে চলে । তবে শীতকালীন এই ফলের উপকরিতা অনেক । এক কাপ পরিমাণ ডালিমের দানায় পাবেন প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে, ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৬ শতাংশ ভিটামিন বি৯ ও ১২ শতাংশ পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে , হারের ব্যাথা দুর করতে , হার্ট এর রোগ নিরাময় করতে , এমনকি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । 



সবেদা: নরম তুলতুলে সুস্বাদু এই ফল এর উপকারিতা প্রচুর । সফেদায় প্রচুর পরিমাণ পলিফেনলস যৌগ ট্যানিন থাকার কারণে শরীরে প্রদাহ প্রতিরোধ করে এবং জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকায়।সফেদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, লোহা ও ফসফরাস, যা হাড়ের গঠন মজবুত করে। ত্বক ও চোখ ভালো রাখে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। সফেদা কফ বসে যাওয়া এবং কাশি থেকে উপশম করতে সাহায্য করে। 


কমলালেবু :  মরসুমি ফলের মধ্যে কমলালেবু। এটি শুধু খেতেই সুস্বাদু তা নয়, এই ফল স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। তাপমাত্রা কমতে শুরু করলে, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়। এমনকি ত্বক প্রাণহীন হয়ে যায় এবং হজমশক্তি দুর্বল হতে থাকে। কমলালেবু এমন একটি ফল যা, স্বাস্থ্যকর শরীরের পাশাপাশি উজ্জ্বল ত্বকও দেয়। কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা ওজন কমানোর পাশাপাশি হজমশক্তিকেও শক্তিশালী করে।এটি বিশ্বাস করা হয় যে, কমলালেবুতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। এই ফল রক্তের কোষের কার্যকারিতাও উন্নত করে।শীতের মরসুমে সর্দি-কাশি হওয়া সাধারণ ব্যাপার। এই রোগ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভাল উপায় হল, এই মরসুমে প্রচুর পরিমাণে কমলালেবু খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে। কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, তাই শীতকালে কমলালেবু খেলে ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করা যায়।




আমলকী: আমলকীতে এমন অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি ঠান্ডা, সর্দি এবং কাশি-সহ বিভিন্ন ধরণের ভাইরাল সংক্রমণের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে। সাধারণত চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে আমলকী ব্যবহার করা হলেও এর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। শুকনো আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়।শুকনো আমলকী জলে ফুটিয়ে খেলে পেটের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। অর্থাৎ পেট ভাল রাখতে আমলকী খাওয়া যেতে পারে। 



জলপাই : জলপাইয়ে প্রচুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , ভিটামিন সি আছে যা সর্দি, জ্বর ইত্যাদি দূরে থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে জলপাই রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

নবীনতর পূর্বতন