সত্যনারায়ণ সিং, পশ্চিম বর্ধমান : সালানপুর ব্লকের চিত্তরঞ্জন চক্রের বাসুদেবপুর গেমহারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধুন্দবাদ গ্রামে অবস্থিত গোপালপুর ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের রান্নাঘরে একটি অসুস্থ (কৃমি আক্রান্ত) কুকুরের দেখা পেয়ে স্কুল শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকরা। বুধবার সকালে রুম খোলা হলে এই দৃশ্য দেখা যায়। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে স্কুল শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানাতে থাকে।
ঘটনার বিষয়ে বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ থাকার পর বুধবার সকালে রান্নাঘরের দরজা খুললে ভেতরে কৃমিতে আক্রান্ত একটি অসুস্থ কুকুর দেখে স্থানীয় লোকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের ইনচার্জ শিক্ষক সুব্রত অধিকারী জানালা ঠিকমতো তালা না লাগিয়ে বিদ্যালয়ের পর চলে গিয়েছিলেন, যার কারণে কুকুরটি জানালা দিয়ে রান্নাঘরে প্রবেশ করে এবং সেখানে রাতভর আটকে ছিলো স্থানীয় লোকজনের মতে, সকাল নাগাদ পুরো কক্ষ রক্ত ও নোংরায় ভরে গিয়েছিল এবং দুর্গন্ধও ছিল।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রান্নার যাবতীয় পাত্র রান্নাঘরে থাকায় স্থানীয় লোকজন মাইড মিলে খাবার রান্না করতে দেয়নি। স্থানীয় লোকজনের দাবি, আগে রান্নাঘর ও বাসন-কোসন পরিষ্কার করতে হবে, তবেই খাবার রান্না করতে দেব। স্থানীয় লোকজন জানান, এই বিদ্যালয়ে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত শিক্ষকের অবহেলার কারণে এ অবস্থা।
স্থানীয় মহিলারা স্কুল শিক্ষক সুব্রত অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, স্কুলে পড়ালেখা হয় না, বাচ্চারা ভালো খাবার পায় না, অতীতেও বহুবার এই কথা বলা হয়েছে, শিক্ষক স্কুলের গুদামের দরজা খোলা রেখেছেন।
সুব্রত অধিকারী তার ভুল স্বীকার করে বলেন, জানালা খোলা ছিল, তাই কুকুর ঢুকেছে। পরিচ্ছন্নতা না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার তৈরি হবে না।