নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম বর্ধমান : অনলাইন বেটিং চক্রের প্রতারনা, সর্বশান্ত বহু যুবক । ঘটনাটি দুর্গাপুরের বুদবুদের। সি বি আই এর দারস্ত প্রতারিতরা বুদবুদ থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর গা ঢাকা দিয়েছে প্রতারকরা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন?
দুর্গাপুর -অনলাইন ক্যাসিনোতে (জুয়া) ১০ হাজার টাকা লগ্নি করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফেরত আসছিল ২০ আবার কখনও ৩০ হাজার টাকা। রাতারাতি বড়লোক হওয়ার লোভে কেউ সোনার গয়না আবার কেউ গাড়ি বন্ধক রেখে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে জুয়াতে লগ্নি করেছিলেন। জুয়া চক্রের মূল দুই পান্ডা আনন্দ গুপ্তা ও দীপক প্রসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অন লাইন জুয়া খেলার মাধ্যমে বুদবুদ থানা এলাকার বহু যুবকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই দুই যুবক। বুদবুদ থানার অধীন হনুমান মন্দির এলাকার বাসিন্দা আনন্দ গুপ্তা ও সিন্ডিকেট মোড়ের বাসিন্দা দীপক প্রসাদ। এই দুই যুবক দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে বিভিন্ন অবৈধ সাইটের মাধ্যমে জুয়া খেলার চক্র চালাচ্ছিল। এদের অধীনে আরও ৪ – ৫ জন এজেন্ট ছিল। এই এজেন্টরা গ্রাহক জোগাড় করত মোটা টাকা কমিশনের মাধ্যমে এই চক্রের জাল বহুদূর বিস্তৃত। গ্রাহকদের মোবাইলে অবৈধ অনলাইন জুয়া খেলার লিঙ্ক আপলোড করে দেওয়া হত।
সেই লিঙ্ক খোলার জন্য আইডি ও পাসওয়ার্ড ক্রিয়েট করে দেওয়া হত। প্রতিদিন সকালে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হত ওইদিনের জুয়া খেলার জন্য কত টাকা লগ্নি করতে হবে আর কত টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।
অধিকাংশ লেনদেন হত ক্যাশ টাকায়। সামান্য কিছু টাকা অনলাইনে লেনদেন হত। ক্যাশ টাকা কখনই নিজেদের অ্যাকাউন্টে জমা করত না আনন্দ ও দীপক। তাদের অধীনে থাকা তিন জন অনুগামীদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা হত।
দু’জনের বয়স আনুমানিক ২৬ – ২৮ বছরের মধ্যে। এই দু’জনের খপ্পরে পড়েছিলেন বুদবুদ থানার অধীন আজাদপল্লির বাসিন্দা পরিবহন ব্যবসায়ী মহম্মদ সাব্বির সর্বশান্ত হয়ে গেছে শুধু সাবির নয় বুদবুদে একাধিক বাসিন্দাকে শেষ করে দিয়েছে আনন্দ ও দীপক। পূর্ত দপ্তর মোড় এলাকার বাসিন্দা এক যুবক সব টাকা পয়সা খুইয়ে এখন একটি হোটেলে ওয়েটারের কাজ করছেন। গ্রাম বুদবুদ এলাকার বাসিন্দা একজন প্রায় ৩০ লাখ টাকা খুইয়েছেন।
সোমবার প্রতারকদের বিরুদ্ধে বুদবুদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এটা জানার পরে প্রতারকরা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাপ দেয় সাবিরকে কিছু টাকা তাকে ফেরত দেওয়া হবে বলে টোপ দেওয়া হয় ।অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় সোমবার দুপুরের পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে আনন্দ ও দীপক। এদের কঠোর শাস্তি চাই।’ আনন্দ গুপ্তাকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোন সুইচ অফ আছে। দীপক প্রসাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হয় । কিন্তু তাঁকেও পাওয়া যায় নি।
দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন বেটিংয়ের কারবার করছে আর থানা কি কিছুই জানত না ? এমনই অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা হতে পারে না শুধু বুদবুদ কেন পানাগড় দুর্গাপুর সর্বত্র এই অনলাইন বেটিং চক্র সক্রিয় কারন নেই প্রশাসনের কোনো নজরদারি।