নাটকীয় জয় ইংল্যান্ডের, রোনাল্ডো ছাড়াই চার গোল পর্তুগালের

২০১৬-র ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন এবং আগের মরসুমের উয়েফা নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল। অন্য দিকে ২০১৮ বিশ্বকাপের রানার্স আপ হয় লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া। ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধেয় এ বছরের নেশন্স লিগে মুখোমুখি হয় দুই দল। বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আশা করা গেছিল, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্যরকম চিত্র। পর্তুগালের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ক্রোয়েশিয়া। পর্তুগাল জিতল ৪-১ ফলাফলে। 


প্রথম গোলের পর পর্তুগিজ খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস। 


গোড়ালির সংক্রমণে এদিন খেলেননি রোনাল্ডো। কিন্তু স্টেডিয়ামে বসে দলের খেলা দেখেছেন। অন্যদিকে মদ্রিচ এবং রাকিটিচও খেলেননি ক্রোয়েশিয়ার হয়ে। শুরু থেকেই একপেশে হয়ে যায় খেলা। ডিয়েগো জটা, বার্নার্দো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্ডেজদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে যায় ক্রোটরা। প্রথমার্ধেই গোটা তিনেক গোল হয়ে যেতে পারত। ক্রোট গোলকিপার এবং অনেকটা বরাতজোরে গোল হচ্ছিল না। অবশ্য প্রথমার্ধ শেষের দিকে রাইট ব্যাক জোয়াও ক্যানসেলো অনবদ্য গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও বাধা মানেননি পর্তুগিজরা। জটা, ফেলিক্স এবং আন্দ্রে সিলভা একটা করে গোল করে। অন্য দিকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে একটি গোল ক্রোয়েশিয়ার। 


গোল করে উচ্ছ্বাস রাহিম স্টার্লিংয়ের। 


এই ম্যাচ থেকে প্রমাণিত, রোনাল্ডোদের ইউরোপ সেরা হওয়া কোনও ‘ফ্লুক’ নয়। ভাল পারফর্মেন্স করেই এই জায়গায় পৌঁছছে তাঁরা। অন্যদিকে খুব একটা ভাল না খেলেও গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট ঘরে তুলল ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড নেমেছিল একেবারে রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। তাই বলের দখল থাকলেও গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না হ্যারি কেন, রাহিম স্টার্লিং এবং জেডন স্যাঞ্চোরা। একেবারে ৯০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করেন স্টার্লিং। তিনিই গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। পরের মুহূর্তেই পালটা আক্রমণে পেনাল্টি পায় আইসল্যান্ড। কিন্তু ১২ গজ দূর থেকে বল গোলে রাখতে পারেননি আইসল্যান্ডের বার্নাসন।      

 

নবীনতর পূর্বতন