মধ্য কলকাতার ১৩৫ বছরের পুরনো বাড়িতেই কেটেছে বাসবদত্তা চ্যাটার্জীর (Basabdatta Chatterjee ) মেয়েবেলা। নিজের ভাইবোন না থাকলেও তুতো ভাইবোনদের নিয়েই ছোটবেলা কাটিয়েছেন নায়িকা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই ভাই বোনেরাই তার ভরসা। কারণ স্বামী পেশায় সাংবাদিক হওয়ায় দুজনেই বেশ ব্যস্ত থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চার দেখাশোনা করতে হলে তুতো বোনেরাই এগিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, এইমুহুর্তে বাসবদত্তা অভিনয় করছেন জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালে। এই মেগায় নায়িকা শিমুলের বান্ধবি সুচরিতার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। তবে এর আগে একটা লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন বাসবদত্তা। আসলে মেয়ে হওয়ার পর একরত্তিকে ফেলে শ্যুটিং-এ ফিরতে চাননি তিনি। তবে ভক্তরা বহুদিন ধরেই অভিনেত্রীর কামব্যাকের অপেক্ষায় ছিলেন।
আসলে অভিনেত্রীর প্রথম সিরিয়াল ‘বয়েই গেল’ মানুষের এতবেশি পছন্দ হয়েছিল যে তা বলে বোঝানো যাবেনা। তারপর পুরো ১৩ টা বছর পার করে ফেলেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে এই সফরে যে কয়টি প্রোজেক্টে কাজ করেছেন তার সবকটিই বেছে বেছে। তাই তার ঝুলিতে সিরিয়ালের সংখ্যা হয়ত কম, কিন্তু কাজের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নিজের নীতির সঙ্গে কখধোই আপোষ করেননি বাসবদত্তা চ্যাটার্জী।
অনেকেই হয়ত জানেননা যে, ছোটবেলা থেকেই বড় সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন বাসবদত্তা। তার সাংবাদিক বাবার কাছ থেকেই পেয়েছিলেন এই অনুপ্রেরণা। তবে পরিস্থিতি সেইরকম ছিলনা। ভাগ্যের ফেরে চলে আসেন টালিগঞ্জে। ঋতুপর্ণ ঘোষের বাংলা সিরিয়াল ‘গানের ওপারে’তে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এটাই ছিল তার ডেবিউ প্রোজেক্ট।
এরপর তার হাতে আসে ‘বয়েই গেল’। এই সিরিয়ালের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি বাসবদত্তাকে। তবে এই সময়টা একটু সাবধানেই এগিয়েছেন তিনি। অনেক নতুন আনকোরা অভিনেত্রীরাও তাকে ছাপিয়ে গেছেন। তার কিছু নীতিবোধের কারণেই হয়ত টলিপাড়ার প্রথম সারির পরিচালকদের সাথে কাজের সুযোগ আসেনি। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন হাঁটুর উপরে পোশাক পরে নিলেও চুম্বন দৃশ্যতে তার আপত্তি রয়েছে। বাসবদত্তার কথায়, ‘আমার নিজের কিছু নীতি আছে,সেটা থেকে সরতে পারবো না। এত কিছুর পরেও তো ভালো কাজ করছি’।