বাংলায় আর পাঁচটা প্রশাসনিক পদের মতো পুলিশেও ঢের শুন্যপদ রয়েছে। আর এই ঘাটতি মেটাতে কতিপয় পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু তাহলে তো আর প্রশাসন চলেনা! এজন্য অবশ্য শর্টকাট উপায় রয়েছে সিভিক পুলিশ (Civic Police)। বস্তুত রাজ্য সরকারের শূন্যপদ গুলো এই সিভিক ভলেন্টিয়ারস দ্বারাই পূরণ করা হচ্ছে। যদিও সেই নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু এবার সিভিক পুলিশের এক ভিডিও ব্যপক ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওর (Viral Video) কারণে সিভিক পুলিশ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে, সিভিক পুলিশের ইউনিফর্মে থাকা এক যুবক ঝুলতে থাকছেন গাড়ির জানালা ধরে। আর তাকে নিয়ে বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে গাড়িটি। শুধু তাই না, গাড়ির আরোহীদের সাথে জোর বাকবিতন্ডাও চলছে কর্মরত সিভিক পুলিশের।
ভাইরাল ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে যে, গাড়ির আরোহীরা সিভিক পুলিশকে বারংবার প্রশ্ন করে চলেছেন যে তিনি কোন সাহসে তোলাবাজি চালাচ্ছেন এবং কেনই বা গাড়ির চাবিতে হাত দিচ্ছেন। ঝুলন্ত সিভিক পুলিশকে দেখা যায় ক্ষমা চাইতে। এছাড়া তিনি স্বীকার করেন যে, থানার বড় বাবুর জন্যই নাকি তোলাবাজি করতে হয়। তারই আদেশে চলতে থাকে এসব।
এই দীর্ঘ ৫ মিনিটের কথোকথনের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে দারুণ ভাইরাল। নানান জায়গায় শেয়ার হচ্ছে সেই বাগবিতণ্ডার ভিডিও। ভিডিওটি নিম্নে দেওয়া লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারেন। কিন্তু ভিডিওটি আসল নাকি ফেক? ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা কতখানি? চলুন সেই বিষয়েই জানাবো আপনাদের।
বিষয়টির ফ্যাক্ট চেক করে ইণ্ডিয়া টুডে। তারা জানান, এটি আসলে কোন সত্য ঘটনা নয় বরং মজার জন্য তৈরি। একটু খুঁজতেই সামনে আসে পুরো বিষয়। দেখা যায় যে, ভিডিওটির উপর Comedy Processing Unit এর ওয়াটারমার্ক রয়েছে। অর্থাৎ সেটি মজার উদ্দেশ্যে তৈরি। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনের মুন্ডুপাত করা হচ্ছে তা আসলে নিছক মজার ভিডিওর কাটিং। এমনকি ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তারা নিজেরাও জানিয়েছেন যে, এই ধরণের মজা করাটা তাদের উচিত হয়নি। এতে করে সমাজের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে।