এই প্রশ্নপত্রে তিনটি পাতার ছবি বেরোনোর পর নির্দিষ্ট এলাকার চিহ্নিত করে ফেলল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোথা থেকে প্রশ্নপত্র বেরিয়েছে, কারা বের করল প্রশ্নপত্র এলাকা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপে নির্দেশ দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।কোথা থেকে প্রশ্নপত্র বেরিয়েছে, সেই এলাকা ও স্কুল চিহ্নিত করে মালদা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে পর্ষদ, সূত্রের খবর এমনই। গতকাল রাতেই মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, “কারা এর সঙ্গে যুক্ত আমরা সেই সোর্স চিহ্নিত করে ফেলেছি। মালদা জেলা প্রশাসনকে গোটা রিপোর্ট দিয়ে আমরা বলেছি সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।”
প্রসঙ্গত পরীক্ষা শুরুর প্রায় দু’ঘণ্টা বাদে মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতার ছবি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করেন। টুইট করে মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতার ছবি নিয়ে তিনি দাবি করেন, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক।
যদিও পর্ষদ একে পরিকল্পনামাফিক চক্রান্ত বলে দাবি করছে। শুক্রবারই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। বিবৃতিতে পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, “দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে ১৬ পাতার প্রশ্নপত্রের মধ্যে থেকে। এই ঘটনাটি পরিকল্পনা মাফিক চক্রান্ত, ফাঁস নয়। যদি এটি ফাঁস হতো তা হলে প্রশ্নপত্রের ১৬ টি পাতাই পরীক্ষা শুরুর আগে প্রকাশ হতো। আমরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি এই চক্রান্তে তদন্ত করার জন্য।
আরও বলা হয়, “পরীক্ষা শুরু হয়েছে দুপুর বারোটা থেকে, প্রশ্নপত্র ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সকাল ১১:৪৫ থেকে। যখন এই ছবিটি প্রচার করা হয়েছে তখন পরীক্ষার্থীরা এবং পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সবাই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে। সেক্ষেত্রে এর কোনও প্রভাব পরীক্ষার ওপর পড়েনি। যারা এই ধরনের বিষয়কে প্রচার করছে তারা এই ধরনের চক্রান্তেরও প্রচার করছেন।
পর্ষদ সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সাইবার ক্রাইমকে দেওয়া হচ্ছে তদন্তের জন্য। তবে আপাতত গোটা বিষয়টি নিয়ে যাচাই করতে চাইছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।এর আগেও পরীক্ষা শুরুর পর পর বিভিন্ন সময় সোশ্যাল সাইটে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও পর্ষদের তরফে এর আগেও বারবার দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর পর পরই প্রশ্নপত্র সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে। তবে এবার নিরাপত্তার স্বার্থে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ন্যূনতম তিনটি সিসিটিভি বসানোর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট অ্যাপেরও ব্যবস্থা করেছে পর্ষদ। যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতি মুহূর্তের আপডেট পর্ষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আসবে। অন্যদিকে, এদিন পরীক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে নদীয়া জেলার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন পর্ষদ সভাপতি।